কিশোরগঞ্জে কনকনে শীতে বোরো আবাদ নিয়ে বিপদে কৃষক
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৪-০১-২০২৫ ০৬:৪৯:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-০১-২০২৫ ০৬:৪৯:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
পৌষের মাঝামাঝি এসে হাওরসহ কিশোরগঞ্জের পুরো জেলায় জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। কনকনে শীতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বোরো ধান রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাওরাঞ্চলের কৃষক।
হাওরে এখন পুরোদমে চলছে বোরো আবাদ। বোরো ধান রোপণে কষ্ট হচ্ছে কৃষকের। কুয়াশাভেদ করে ভোরের আলো মাটিতে না পড়লেও শ্রমিক ঠিকই ছুটছেন ফসলের মাঠে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষরা। শীত ও কনকনে বাতাসে কাহিল হয়ে পড়ছে কিশোরগঞ্জের মানুষ। শীত উপেক্ষা করে অনেকেই পেটের দায়ে বাধ্য হচ্ছেন কাজে যেতে। শ্রমিকরা ছুটছেন বিভিন্ন হাটে বাজারে কাজের সন্ধানে।
মিঠামইন ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, “অহন আমরার হাওরে বুরু (বোরো) আবাদের হময় (সময়)। কিন্তু এই মাসের শুরুত থেইক্কাই যে ঠান্ডা হড়ছে (পড়ছে)। কাইজ কামে খুব কষ্ট হইতাছে। কিন্তু পেডের মইদ্যে তো আর বান দিওন যাইতো না। তাই সক্কাল থেইক্যাই খেতো আইয়া পড়ছি। ঠান্ডা-মান্ডা বুঝিনা, কাম তো করন লাগবো।”
জেলায় হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে তাপমাত্রা, বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে বেশি শীত অনুভূত হওয়ায় কষ্টে পড়েছে মানুষ। গত তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও। বিঘ্নিত হচ্ছে হাওরে নৌ-চলাচল, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন চাষাবাদ।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আখতার ফারুক জানান, বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স